উপজেলার পটভূমিঃ ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮২ খ্রিঃ তারিখে উন্নীত মহেশখালী থানার উদ্বোধন করা হয় । উপজেলা সৃষ্টি ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮৩ খ্রিঃ। অতপরঃ ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়।
নামকরনঃ উপজেলার নাম মহেশখালী, কিন্তু কেন?এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। প্রচলিত কিংবদন্তী হচ্ছে- ছোট মহেশখালীর বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ সিকদার তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মাঝে মাঝে পাহাড়ে হরিণ শিকার করতে যেতেন। একদিন হরিণ শিকার করতে গিয়ে সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরেও শিকারের সন্ধান না পেয়ে একটি গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেলেন। হঠাৎ কিসের শব্দে তার তন্দ্রা টুটেঁ যায়। শব্দ অনুসরন করে তিনি দেখতে পান যে, একটি গাভী একটি মশ্রন শিলাখন্ডের উপর ‘বাট’ থেকে দুধ ঢালছে। সে গাভীটি তার গোয়াল ঘর হতে কিছুদিন পূর্বে হারিয়ে যায়। গাভী আর সেই সুন্দর শিলাখন্ডটি নিয়ে তিনি বাড়ী ফিরে আসেন। সেদিন রাতে তিনি এক স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নে এক মহাপুরুষ তাঁর সামনে এলেন এবং বললেন যে, শিলাখন্ডটি একটি দেব বিগ্রহ। এ বিগ্রহ যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখান রেখে তার উপর একটি মন্দির নির্মাণ করতে হবে। মন্দিরের নাম হবে আদিনাথ মন্দির। এ আদিনাথের একশত আট নামের মধ্যে মহেশ অন্যতম। এ মহেশ নাম হতে এ স্থান পরবর্তীতে মহেশখালী হয়ে যায়। আদিনাথ মন্দিরটি উপমহাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের আদি ও অন্যতম তীর্থস্থান। অধ্যাপক ডাঃ সুনীতি ভূষন কানুনগোর মতে, ১৫৫৯ সালের প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়। Creaser Federick নামক একজন পর্তুগীজ ভ্রমণকারী আরাকান অঞ্চলে ১৫৫৯ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গেছেন। তাছাড়া দ্বীপের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এবং তার পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল থাকার কারণে অনুমিত হয় যে, দ্বীপটি এক সময় মূল ভূ-খন্ডের সাথে সংযুক্ত ছিল।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS