মহেশখালী একটি প্রাচীন জনপদ বলে এখানকার সংস্কৃতিও পুরানো। আরকান, আকিয়াব, চট্টগ্রাম ও রোয়া সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে ‘শুভ হালখাতা’ উদযাপিত হয়। নৌকা গর্জনে বিশেষ বার। তিথি এবং হিন্দু বৌদ্ধ পুজা ও মুসলিম হলে সিন্নি মানত করা হয়। পাঁচ পীর ‘বদর’ এর নামে নৌকা ভাষান করা হয়। জন্ম এবং বিয়েতে এক ধরনের কোমড় দুলিয়ে নাচন ও মুখে বানানো গীত (অহলা) গাওয়া হয়। বর যাত্রায় দুলা ও দুলহান বো নিয়ে মূখ রোচক গান এখানকার বৈশিষ্ট্য।
ভাষাগতভাবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিকাভাষা প্রচলিত আছে। তবে আরব বনিকদের আগমনে তাদের ভাষাগত প্রভাব মহেশখালীর ভাষাতে প্রভাব এসেছে বলে মনে হয়। এখানকার অধিবাসী ‘না’ শব্দটা আগে দিয়ে বাক্য তৈরী করে। যেমন অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ যাবে কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে বলবে ‘যাব না’। কিন্তু এখানে ‘ন যাউুম’ প্রচলিত আছে। আরবীতে ও না শব্দ আগে বসিয়ে বাক্য তৈরী করা হয়। যেমন ‘লা’- বাংলায় না বোধক। বাংলা ভাষায় ৫৭টি উপভাষার মধ্যে ব্যাকরণগতভাবে মহেশখালী দ্বীপের ভাষা হলো মিশ্র উপভাষা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS