পান চাষ মহেশখালী দ্বীপের অধিবাসীদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সুপ্রাচীণ পেশা। মহেশখালীর পাহাড়ী এলাকা পান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মহেশখালীর পানের বিশেষত্ব হচ্ছে এর মিষ্টি স্বাদ। মহেশখালীর মিষ্টি পান সারা দেশে বিখ্যাত। মিষ্টি পান ছাড়াও এ দ্বীপে কিছু পরিমানে সাচি পানের চাষ করা হয়। পান চাষের জন্য বিশেষ দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।পান ক্ষেতকে বলা হয় পান বরজ। মহেশখালীর পানের বরজ দু’ধরণের-পাহাড়ি বরজ ও বিল বরজ। এ দ্বীপের প্রায় ১৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে প্রায় ০৮(আট) হাজার পান বরজ আছে। পান চাষির সংখ্যা প্রায় ১৩(তের) হাজার। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। মহেশখালীর মিষ্টি পান শুধু এ দ্বীপ নয়,সারা বাংলাদেশে অতিথি আপ্যায়নের অপরিহার্য অনুষঙ্গ বলেই চট্রগ্রামের বিখ্যাত শিল্পী শেফালী ঘোষ গেয়েছেন-
‘যদি সোন্দর একখান মুখ পাইতাম
মইশখালীর পানর খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম’।
এছাড়া পান নিয়ে রয়েছে আরো অনেক গান শ্লোক যেমন মহাকবি আলাওল লিখিছেন-
‘সুকেশিনীর শির শোভা কেশের ছেদনে
সুরসিকের মুখ শোভা তাম্বুল(পান) ভক্ষনে’।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS